গাইবান্ধার আলোচিত হিরো ও ভিলেন নামে গরু দুইটি গত বছরের মতো এবারও
বিক্রি না হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপযুক্ত ক্রেতা না পাওয়ায় বিপদে পড়েছে খামারি অবসরপ্রাপ্ত
প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার মাওয়াগারিতে কোরবানির ঈদে
বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে বিশালদেহী গরু দুটিকে। সাদা রঙের হিরো প্রায় সাড়ে ৮ ফুট
লম্বা এবং উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। ওজন প্রায় ২৩ মণ। অপরদিকে কালো রঙের ভিলেন প্রায় ৯ ফুট লম্বা।
প্রায় ৬ ফুট উচ্চতার ভিলেনের ওজন ২৫ মণ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় গরু দুটিকে
স্থানীয় হাটে তোলাও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিন দু’একজন ক্রেতা এলেও এত বড় গরু
দেখেই ফিরে যাচ্ছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ ও কষ্টে লালন পালন করা হিরো ও ভিলেনকে
বিক্রি করতে না পেরে হতাশ শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন এবারও গরু দুটির ব্যাপারে ক্রেতাদের তেমন
সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২১ সাল থেকে গরু দুটি মোটাতাজা করা হচ্ছে। দানাদার খাবারের
পাশাপাশি ধানের কুড়া, আলু, ভুষি, ছোলা বুট ও সবুজ ঘাস খাবার তালিকায় রযেছে। এতে
প্রতিদিন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ব্যয় হয়। গরু দুটির লালন পালনে প্রায় ১৩ লক্ষ
টাকা খরচ হয়েছে। শহিদুল ইসলামের স্ত্রী শাহেলা বেগম বলেন, গরু দুটিকে পরিবারের সবাই
ভালোবাসে। তাদের সন্তানের মতোই লালন পালন করা হচ্ছে। নিজেরা ভর্তা ভাত খেয়ে দিন কাটালেও
হিরো ও ভিলেনকে কখনও খাবারের কষ্ট দেননি। গাইবান্ধা জেলা প্রাণিস¤পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুর
রাজ্জাক বলেন, গরু দুটি বিক্রির জন্য তারা চেষ্টা করছেন। এ জন্য অনলাইনে প্রচার ও বিভিন্ন
পাইকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। বড় গরু বিক্রি করতে না পারলে খামারি বড় গরু পালনে
আগ্রহ হারাবে। এতে ভবিষ্যতে মাংসের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।